নারিকেলের জন্য গাছ দেখা যাচ্ছে না। এই পদ্ধতিতে নারিকেলের চারা রোপন ও পরিচর্যা করলে দিবে বাম্পার ফলন, দেখুন ভিডিও সহ বিস্তারিত।

ভিডিও লিংক নিচে দেয়া আছেঃ

ভিয়েতনামি নারিকেল বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। এটা এমন এক বৃক্ষ যার প্রতিটি অঙ্গ জনজীবনে কোনো না কোনোভাবে কাজে আসে।নতুন জাতের এ নারিকেল গাছ যথাযথ পরিচর্যা করলে ২.৫ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফুল আসা শুরু হবে। বছরে তিন থেকে চারবার গাছে ফুল আসবে। ফলনের পরিমাণ আমাদের দেশীয় জাতের থেকে প্রায় তিনগুণ।

উপযুক্ত পরিচর্যা করলে প্রতি বছর প্রায় ২০০-২৫০ টি নারিকেল পাওয়া যাবে। একটি গাছের জীবনকাল ২০ থেকে ২৫ বছর।খাটো জাতের ভিয়েতনামের ডাবে পানির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। সাধারণত সব ধরনের মাটিতে খাটো জাতের নারিকেল গাছ লাগানো যায়।তাছাড়া এ জাতের গাছ লবণাক্ততা অনেক বেশি সহ্য করতে পারে। নারিকেল গাছ খাটো হওয়ায় পরিচর্যাও সহজ। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ জাতের নারিকেল চাষ শুরু হয়েছে।

ভিয়েতনাম নারিকেল উৎপাদন পদ্ধতিঃ

মাটি দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটি।
তবে সব ধরনের মাটি নারিকেল চাষের জন্য উপযোগী। অতি শক্ত , কাঁকর শীলাময় মাটি হলে প্রায় ১.৫ মিটার চওড়া ও ১.৫ মিটার গভীর।জুন-সেপ্টেম্বর হলো ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ রোপণের উপযুক্ত সময়।রোপণের দূরত্ব- ৬ x ৬ মিটার হিসেবে বাগান আকারে ৭ মিটার দূরত্বে চারা রোপণ করা যাবে।
১মি x ১ মি x ১ মি মাপের গর্ত তৈরি করা প্রয়োজন।গর্তের মাঝখানে নারিকেল চারা এমনভাবে রোপণ করতে হবে যাতে নারিকেলের খোসা সংলগ্ন চারার গোড়ার অংশ মাটির ওপরে থাকে।নারিকেল চারা রোপণের সময় মাটি নিচের দিকে ভালোভাবে চাপ দিতে হবে যাতে চারাটি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।

ভিয়েতনাম নারিকেল গাছে সার ও সেচ পদ্ধতিঃ

চারা রোপণের পর প্রতি ৩ মাস পর পর নিম্নলিখিত হারে সার প্রয়োগ করতে হবে। চারার গোড়া থেকে ৩০ সেমি দূরত্বে ৩০-৪০ সেমি চওড়া ও ২০ সেমি গভীর নালায় সারগুলো প্রয়োগ করতে হবে। পরের প্রতিবার চারার গোড়া থেকে আগের বারের থেকে ৫-৭ সেমি আরও দূরে সার প্রয়োগ করতে হবে। এই নারকেলগাছটির সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের দেয়া লিংকে ক্লিক করে দেখুন ভিডিও সহ বিস্তারিত।

ভিডিওর লিংকঃ https://youtu.be/3oY0UwvwS5A