মৃ’ত্যুর হাত থেকে মেয়েটিকে বাঁ’চিয়ে ছিলেন এই রিক্সা চালক,৮ বছর পর যা প্রতিদান দিল।

কর্মব্যাস্ত জীবনে মানুষের থমকে দাঁড়ানোর সময় কোথায়। ব্যস্ত আপনিও ব্যস্ত আমিও মদ্দা কথা ব্যস্ত সবাই। আর এই ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই কমে আসছে মানুষের অন্যকে উপকার করার পরিমাণ।

আজকাল রাস্তাঘাটে উপকার হোক বা সাহায্য কোনোটাই পাওয়া যায়না সহজে। সবতেই যেন মানুষের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া লেগেই আছে। কিন্তু এই স্বা’র্থপরতার সময়কালেও কিছু মানুষ নিশ্চই আছেন যারা মানুষের উপকার করার মধ্যেই স্বাচ্ছন্দ্য খুঁ’জে পান।

আর এরকমই উপকারের বদলে পাল্টা উপকারের এক সুন্দর কাহিনী আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।ঘটনাটি ঘটেছিলো আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগেই। পেশায় রিক্সাচালক এক ভদ্রলোক প্রতিদিন ধনী পরিবারেরই এক মেয়ের নিয়মিত চালক ছিলেন। স্কুল থেকে শুরু করে টিউশান সব গন্তব্যতেই রিকশাচালক ভদ্রলোকের দায়িত্ব ছিলো তাকে যথাযথভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া।

এরকমই একদিন রিক্সায় চে’পে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু প্রকৃত গল্পের সূত্রপাত তখনই যখন মেয়েটি রিক্সাচালক কে রিক্সা দাঁড় করাতে বলে হঠাৎ করেই ছুঁটতে আরম্ভ করে রেললাইনের দিকে। অর্থাৎ মেয়েটি স্থির করেছিলো সেদিন সে সু’ইসা’ইড করবেন। কিন্তু তা হতে দেননি রিকশাচালক ভ’দ্রলোক, তাকে আ’ত্মহ’ত্যার হাঁত থেকে বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন তিনি।

এর ঠিক ৮ বছর পর রিকশাচালক ভদ্রলোক যখন তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে, বয়সের বেড়াজালে অসু’স্থতাকে আপন করে শয্যাশায়ী হাসপাতালের এক বিছানায়, তখনই হাসাপাতালের ডাক্তার রূপে দেখতে পান সেই মেয়েটিকেই।

মেয়েটি তখন বৃ’দ্ধ রিকাশাচালকটিকে ধন্যবাদ জানান আর বলেন যে , “আপনি সেদিন আমায় আ’ত্মহ’ত্যার হাত দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন বলেই, আজ আমি একজন ডাক্তার হতে পেরেছি, জীবনের ম’র্ম বুঝেছি, আপনার সম’স্ত চি’কিৎসার দা’য়ভার তাই এখন থেকে আমার।