১০ বার নোটিশ দেওয়ার পরও চলছিল মার্কেটটি: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

রাজধানীর বঙ্গবাজারে যে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটি আরও চার বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস।

এরপর ১০ বার নোটিশ দিয়েছি যে, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিস বা আমার করণীয় যা যা ছিল, তা করেছি। তারপরও এখানে ব্যবসা চলছিল।’

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অগ্নিকাণ্ডের স্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মাইন উদ্দিন। মহাপরিচালক বলেন,

বঙ্গবাজার মার্কেটকে ২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমে তার সংবাদও প্রচারিত হয়। এছাড়া তাদের বিভিন্ন সময়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে।

১০ বার নোটিশ দেওয়ার পরও সিটি করপোরেশন বা রাজউকের অবহেলায় এমন ঘটেছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। এ প্রশ্ন যে সংস্থার নাম আপনি উচ্চারণ করলেন, তাকে জিজ্ঞাস করাটা বেটার। আমরা এ মার্কেটের সামনে এ রকম ব্যানারও টাঙিয়েছিলাম ২০১৯ সালে। আপনারা মিডিয়া প্রতিনিধিরা অবশ্যই জানেন, এ রকম ব্যানার আমরা টাঙিয়েছি, আপনারা দেখেছেন।’

এর আগে ২০১৮ সালে বঙ্গবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে বঙ্গবাজারের নিরাপত্তা বিষয়ে করণীয় সভা হয়। এ সময় তাদের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেয় ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছোটবড় পাঁচহাজারের বেশি দোকান পুড়ে গেছে। দমকল বাহিনীর অর্ধশতাধিক ইউনিট ছাড়াও সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সেখানে কাজ করে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দমকলে বাহিনীর আটজন সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জানা গেছে, বঙ্গবাজার আদর্শ মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো মার্কেটসহ বরিশাল প্লাজায়ও ছড়িয়ে পড়ে। সবশেষ পুলিশ সদরদপ্তরের পাঁচতলা একটি ভবনে আগুন লেগে যায়। এতে ভবনের অফিস কক্ষগুলো পুড়ে গেছে।