
এক নারীর সঙ্গে শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন রাশেদুল ও শহিদুল। সেই ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে নগদ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের
মাধ্যমে হাতিয়ে নেন টাকা। পরে আরো টাকা দাবি করতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে টাকা না দিলে ভিডিও ফাঁসেরও ভয় দেখাতে শুরু করেন তারা।
গত ২০ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকায়।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য রাশেদুল ও তার সহযোগী শহিদুলকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আরএমপির পবা থানার বায়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল রাশেদুল খান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার শহিদুল ইসলাম সুমন। শহিদুল একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। সম্প্রতি রাশেদুল খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকায় এক নারীর সঙ্গে এক শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন রাশেদুল ও শহিদুল। সেই ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে নগদ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন তারা। পরবর্তীতে আরো টাকা দাবি করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে ভিডিও ফাঁস করারও ভয় দেখাতে শুরু করেন তারা।
এ ঘটনায় গত ২০ মার্চ পুলিশ সদস্য রাশেদুল ও তার সহযোগী শহিদুলকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান পুলিশ সদস্য রাশেদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর শনিবার রাতে রাজপাড়া থানা পুলিশ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে রোববার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান পুলিশ সদস্য রাশেদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশন (মিডিয়া) রফিকুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।