শরীয়তপুরে লাখো মানুষ পানিবন্দী

শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৫০টি ইউনিয়ন ও শরীয়তপুর পৌরসভাসহ চারটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেড় লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তবে শুক্রবার পদ্মার পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পানিতে ডুবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। পানির নিচে চার হাজার হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়ে ফসল বিনষ্ট হয়েছে।

বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৩২ দশমিক ৬৫ হেক্টর জমির ১৯৯টি মাছের পুকুর ও ঘের। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষীরা। সরকারি হিসেব মতে এক কোটি ৯২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আবদুল রব। পানিবন্দী মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর বাসস্থান ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বানভাসি মানুষ খাদ্যের অভাবে মাবনবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট রয়েছে। নড়িয়া উপজেলার ধামারন এলাকার বাচ্চু মাল বলেন, বন্যার পানিতে আমাদের এলাকার সব বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

বানভাসি মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটছে। কোজ কাজ নেই কর্ম নেই। আমাদের দেখার কেউ নেই। জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকার তালেবর সেক বলেন, বন্যায় আমাদের ঘরের ভিতর কোমড় পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব, শুকনো খাবার ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। তাই খুবই কষ্ট হচ্ছে। ঘরে আমাদের খাবার নেই। ইড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিব বলেন, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের ভিতরে পানি উঠে গেছে। তার পর নানা সীমাবদ্ধতা মধ্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিবুর রহমান বলেন, পদ্মার পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নুতন নুতন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে।